অলিম্পিকের একটা সোনার পদকের আর্থিক মূল্য কত?
প্রশ্নটা অনেকের কাছেই বেশ অদ্ভুত শোনাবে। অলিম্পিকের একটা সোনার পদকের মূল্য কাগুজে মুদ্রায় বিচার করা যায় নাকি! এই সোনার পদকের সঙ্গে যে আবেগ জড়িয়ে আছে, সেটি তো অমূল্য। বিশ্বের সবচেয়ে বড় ক্রীড়া প্রতিযোগিতায় নিজেকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার পরই তো এই পদক। এই পদকের পেছনে কত কষ্ট, কত পরিশ্রম। বছরের পর বছর একটা লক্ষ্যে চোখ রেখেই আসে চূড়ান্ত সাফল্য, গলায় পরিয়ে দেওয়া হয় সেই পদক। শুধু আর্থিক দৃষ্টিকোণ থেকে অলিম্পিকের একটা সোনার পদকের মূল্যায়ন করা কঠিনই।
আগেই বলা হয়েছে অলিম্পিক সোনার পদকের সঙ্গে বিজয়ীর আবেগ জড়িয়ে থাকে। এর ঐতিহাসিক মূল্যও আছে। ২০২২ সালে ১৮৯৬ অলিম্পিকের একটি সোনার পদক নিলামে বিক্রি হয়েছিল। সেটির দাম উঠেছিল ১ লাখ ৮০ হাজার ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় যেটি ২১ কোটি ১ লাখ ৫৩ হাজার টাকা। আর্থিক প্রয়োজনে বা যেকোনো দাতব্য কাজে অলিম্পিকের সোনা জেতা অ্যাথলেটরা নিজেদের পদক বিক্রি করে থাকেন। ১৯৩৬ বার্লিন অলিম্পিকে অ্যাথলেটিকসে চারটি সোনার পদক জেতা যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাথলেট জেসে ওয়েনের একটি সোনার পদক ২০১৩ সালে নিলামে উঠেছিল। সেটির দাম উঠেছিল ১৪ লাখ ৬০ হাজার মার্কিন ডলার। বাংলাদেশি মুদ্রায় সাড়ে ১৭ কোটি টাকারও বেশি।
একটা সময় পর্যন্ত অলিম্পিকে কিন্তু সোনার পদকে কোনো খাদ থাকত না। ১৯১২ সালের স্টকহোম অলিম্পিক পর্যন্ত সোনার পদক হতো পুরোটাই সোনা দিয়ে তৈরি। মাঝখানে একবার ১৯০৪ সালের সেন্ট লুইস অলিম্পিকে বিজয়ীদের সোনার তৈরি ছোট্ট একটি ট্রফি দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু খাঁটি সোনার বিষয়টি দিনে দিনে খরচান্ত হয়ে ওঠায় আইওসি সেই পথ থেকে সরে আসে।