হাসিনাকে ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি করা উচিত

বাংলা একাডেমির সভাপতি অধ্যাপক আবুল কাসেম ফজলুল হক বলেছেন, টর্চার সেলে বহু মানুষকে বন্দি রেখে ঠান্ডা মাথায় নির্যাতন করা ছিল বিগত সরকারের একটি বড় অপরাধ। এ ধরনের অপরাধে দণ্ডিতদের বিচারে ফাঁসিও হতে পারে। দেশবাসী আশা করে বন্দি বিনিময় চুক্তির আওতায় ভারত থেকে শেখ হাসিনাকে দেশে ফিরিয়ে এনে বিচারের মুখোমুখি করা উচিত।

রোববার এফডিসিতে ‘জুলাই গণ-অভ্যুত্থান প্রমাণ করেছে একুশের চেতনা বৃথা যায়নি’ শীর্ষক ছায়াসংসদে তিনি এসব কথা বলেন।

ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির আয়োজনে অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংস্থটির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ। ছায়াসংসদে সেন্ট যোসেফ উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের বিতার্কিকদের পরাজিত করে ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট গার্লস পাবলিক স্কুল অ্যান্ড কলেজের বিতার্কিকরা বিজয়ী হয়। প্রতিযোগিতা শেষে অংশগ্রহণকারী দলকে ট্রফি, ক্রেস্ট ও সনদপত্র প্রদান করা হয়।

আবুল কাসেম ফজলুল হক বলেন, একুশের চেতনায় উজ্জীবিত হয়েই দেশের ছাত্র-জনতা জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী সরকারের পতন ঘটিয়েছে। আওয়ামী সরকারপ্রধান শেখ হাসিনা নিজেকে একচ্ছত্র ক্ষমতার অধিকারী মনে করতেন। নির্বিচারে গুম-খুনের নির্দেশদাতা হিসাবে জাতির কাছে তিনি অত্যাচারী শাসকে পরিণত হয়েছিলেন।

বিচার বিভাগ, আইন প্রয়োগকারী সংস্থা ও প্রশাসনসহ সব প্রতিষ্ঠানই তার একক নির্দেশে পরিচালিত হতো। ফলে হাইকোর্ট ও সুপ্রিমকোর্ট তার মর্যাদা হারিয়েছিল। দীর্ঘদিনের অপশাসন, অন্যায়-অত্যাচার ও দুর্নীতির কারণে তিনি রাষ্ট্র পরিচালনার যোগ্যতা হারিয়ে গণ-অভ্যুত্থানের মুখে দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন।

সভাপতির বক্তব্যে ডিবেট ফর ডেমোক্রেসির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে দৃশ্যমানভাবে গুলি করে এ রকম হত্যাকাণ্ড আর কখনো ঘটেনি। তাই জুলাই বিপ্লবসহ আওয়ামী শাসনামলে গত ১৫ বছরের সব গুম-খুন, হত্যার বিচার যত দ্রুত করা যাবে ততই সাধারণ মানুষের আইনের শাসনের প্রতি আস্থা বাড়বে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *