সাবেক অধিনায়কের এই সমীকরণ মিললে সেমিতে খেলবে বাংলাদেশ

সব কিছু ঠিক থাকলে আগামীকাল বুধবার বাংলাদেশ সময় তিনটায় পাকিস্তানে শুরু হবে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি। করাচির ন্যাশনাল স্টেডিয়ামে স্বাগতিক পাকিস্তানের প্রতিপক্ষ নিউজিল্যান্ড ক্রিকেট দল। পরদিন দুবাইয়ে এশিয়ার ক্রিকেট পরাশক্তি ভারতের মুখোমুখি হবে বাংলাদেশ।

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ৮টি দল দুই গ্রুপে ভাগ হয়ে অংশ নিবে। গ্রুপ এ-তে রয়েছে – ভারত, পাকিস্তান, বাংলাদেশ ও নিউজিল্যান্ড। আর গ্রুপ বি-তে রয়েছে- অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, ইংল্যান্ড ও আফগানিস্তান।

এ-গ্রুপে থাকা ভারত, নিউজিল্যান্ড ও পাকিস্তান মাঠের পারফরম্যান্সে বাংলাদেশের চেয়ে একধাপ এগিয়ে। সেমিফাইনালে যেতে হলে এই তিন দলের মধ্যে অন্তত দুই দলকে হারাতে হবে টাইগারদের। যা সহজ ব্যাপার নয়। খালি হাতে পাহাড় ঠেলার মতো।

সেমিফাইনালে খেলতে বাংলাদেশ দলের জন্য একটা সমীকরণ বলেছেন জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাসুদ পাইলট।

তিনি বলেছেন, আমার মতে টুর্নামেন্টের ৮টা দলের যে কেউই চ্যাম্পিয়ন হওয়ার দৌড়ে থাকবে। প্রশ্ন আসতেই পারে যে, বাংলাদেশ ও আফগানিস্তানেরও সমান সম্ভাবনা আছে কি না। এক্ষেত্রে বলব, বাকি ছয় দলের চেয়ে তারা কিছুটা পিছিয়ে। বাকি ছয় দলকে দশে দশ দেব। বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান পাবে দশে আট। তবে ক্রিকেটে তো আসলে কাগজে-কলমের হিসেব চলে না।

সাবেক এই উইকেটকিপার ব্যাটসম্যান আরও বলেছেন, গ্রুপ পর্বে মাত্র তিন ম্যাচ। দুটি জিতলে সেমি-ফাইনালে। এরপর তো নক-আউট। যে কোনো কিছুই হতে পারে। সাপলুডু খেলার মতো। কাটা পড়লে অনেকটা নেমে যেতে হবে। বড় দলের খারাপ দিনে বাংলাদেশ ও আফগানিস্তান বেশি ভালো খেলতে পারলে যে কোনো কিছুই সম্ভব। বড় দলগুলোর দশ যেদিন সাত-আট হবে আর বাংলাদেশ-আফগানিস্তান যদি আট থেকে দশে যেতে পারে, তাহলেই সব সমীকরণ বদলে যাবে।

জাতীয় দলের সাবেক এই তারকা ক্রিকেটার আরও বলেছেন, তবু ফেভারিট চিন্তা করলে, অবশ্যই ভারত, অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকা, নিউ জিল্যান্ড এগিয়ে থাকবে। নিউ জিল্যান্ড তো ত্রিদেশীয় সিরিজ জিতে গেল। দক্ষিণ আফ্রিকা দলও খুব ভালো। তাদের হয়তো তেমন ট্রফি নেই। কিন্তু তাদের হারানো যে কোনো দলের জন্য কঠিন হবে। ইংল্যান্ড বা পাকিস্তানকেও বাদ দেওয়া যাবে না। পাকিস্তানের নিজের দেশেই খেলা।

চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে বাংলাদেশের সম্ভাবনা নিয়ে পাইলট বলেছেন, বাংলাদেশের সম্ভাবনা আসলে খুব কম। আমরা অনেক আবেগি। ভালো ভালো কথা বললে সবাই খুশি। কিন্তু ক্রিকেটার হিসেবে আমি বাস্তবতার কথা বলব। রিকি পন্টিং, এবি ডি ভিলিয়ার্সদের সঙ্গে একমত। বাংলাদেশের সম্ভাবনা খুব কম দেখি। তবে আশা করি, দোয়া করি তারা ভালো করবে। ভালো করার সম্ভাবনাও একদম উড়িয়ে দেওয়া যায় না।

সাবেক এই তারকা আরও বলেছেন, ব্যাটিং ভালো করতে পারলে সম্ভাবনা বাড়বে। বিপিএলে সব দলে এক-দুজন ভালো বোলার ছিলেন। তাই রান করতে বেশি চ্যালেঞ্জে পড়তে হয়নি। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে সবাই মানসম্পন্ন বোলার। রান করা সহজ হবে না। মূল কাজটা তাই ব্যাটসম্যানদের করতে হবে। বোলিং বিভাগ নিয়ে তেমন চিন্তার কারণ নেই। তাসকিন-মুস্তাফিজের অভিজ্ঞতা, নাহিদ রানার গতি, স্পিনে মিরাজ-রিশাদ আছে। সব মিলিয়ে বৈচিত্র্যপূর্ণ। ব্যাটসম্যানরা রান করতে পারলে বোলাররা ম্যাচ জিতিয়ে দিতে পারবে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *