আদালতে ‘পাউরুটি’ হাতে মেনন

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় আনোয়ার হত্যার ঘটনায় মিরপুর মডেল থানার মামলায় রিমান্ড শুনানির জন্য সকালে আদালতে নিয়ে আসা হয় বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন ও জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনুকে। এ সময় সকালের নাস্তা হিসেবে দেওয়া ‘পাউরুটি’ হাতে নিয়ে প্রিজন ভ্যান থেকে নামেন মেনন।

এ মামলায় তাদের তিন দিনের রিমান্ড নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেন।

সোমবার সকাল ১০টা ৫৫ মিনিটে কাশিমপুর কারাগার থেকে প্রিজন ভ্যান এসে থামে সিএমএম আদালতের হাজতখানার সামনে। প্রিজন ভ্যান থেকে প্রথমে নামেন বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন। তার পরনে ছিল পায়জামা, পাঞ্জাবি ও সোয়েটার, গলায় মাফলার, আর বাঁ হাতে ধরা একটি পাউরুটি।

মেননের পর প্রিজন ভ্যান থেকে নামেন জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জাসদ) সভাপতি হাসানুল হক ইনু। এরপর নামের যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসান।

এরপর তাদেরকে আদালতের এজলাসকক্ষে তোলা হয়। কাঠগড়ায় উঠানোর পর ইনু ও রাশেদ খান মেনন তাদের আইনজীবীর সঙ্গে কথাবার্তা বলেন। তবে যাত্রাবাড়ী থানার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল হাসান এক পাশে চুপ করে দাড়িয়ে ছিলেন।

পরে ১১ টা ১০ মিনিটে বিচারক এজলাসে ওঠেন। প্রথমেই আবুল হাসানকে গ্রেফতার দেখানোর শুনানি হয়। পরে মিরপুর থানার আনোয়ার হোসেন পাটোয়ারী হত্যা মামলায় ইনু ও মেননের রিমান্ড শুনানি শুরু হয়।

তখন কাঠগড়ায় দুজন পাশাপাশি দাঁড়িয়ে ছিলেন। কিছুক্ষণ পর ইনু মেননের কাছে এগিয়ে যান। ইনুর কথা শুনে হাসতে থাকেন মেনন। শুনানি শেষে আদালত তাদের এ মামলায় তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। তারপর পুলিশ প্রহরায় আদালত থেকে নিচে নামানো হয়।

পথে এক সাংবাদিক তার কাছে জানতে চান, আপনার আইনজীবী বলেছেন, আপনি কোটাবিরোধী আন্দোলনের পক্ষে ছিলেন? আপনার বক্তব্য কী?

তখন ইনু হাসতে হাসতে বলেন, যে লাউ, সেই কদু।

এরপর সাংবাদিক পাল্টা প্রশ্ন করে বলেন, আপনি লাউ নাকি কদুর পক্ষে?

ইনু আবার হাসতে হাসতে বলেন, আমি লাউ-কদু দুটিরই বিপক্ষে।

মামলার অভিযোগ থেকে জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় আওয়ামী সরকারের পতনের দিন পাঁচ আগস্ট মিরপুর গোলচত্বর এলাকায় গুলিতে নিহত হন আনোয়ার হোসেন পাটোয়ারী। এ ঘটনায় গত ৬ নভেম্বর তার বাবা আল-আমিন পাটোয়ারী মিরপুর মডেল থানায় হত্যা মামলা করেন। এতে শেখ হাসিনাসহ ১৫০ জনকে এজাহারনামীয় আসামি করা হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *